রনি আহম্মদ:
মা” শব্দটি সকলের কাছেই প্রিয় একটি শব্দ। পৃথিবীতে সবাই তোমাকে ভালোবাসবে, সেই ভালোবাসার মাঝে যে কোনো প্রয়োজন লুকিয়ে থাকে। কিন্তু একজন ব্যক্তি কোনো প্রয়োজন ছাড়াই তোমাকে ভালোবাসবে সে হলো মা।
রাজশাহীর ঘটনার এই ছবিটি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শনিবার (২৬ জুন) দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে রিকশাতে করে শিশু হাফসাকে তার মা মুখে বাতাসের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস সচল রাখতে বাতাস দিতে দিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
পাশেই বসে শিশু সন্তানের বাবা সজল মাঝে মাঝে সন্তানের নাম ধরে জোরে ডাকছে “মা” “মা” বলে। যেন তার সন্তানটি চিরতরে যেন ঘুমিয়ে না যায়। মা আদরের সন্তানটিকে বাঁচানোর জন্য সন্তানের মুখে মুখ দিয়ে অক্সিজেন দেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।
অনেকের প্রশ্ন ছিল-দুদিন পর শিশু হাফসা কেমন আছে? অবশেষে জানা গেল ২৩ দিন বয়সী হাফসা বেঁচে আছে। মায়ের এক ঘণ্টার লড়াই আর সেদিনের চিকিৎসক’দের চেষ্টায় শিশু হাফসা এখন সুস্থ।
চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে শিশুটির চিকিৎসা শুরু হয়। মায়ের বুদ্ধিমত্তা আর চিকিৎসক-নার্সদের তাৎক্ষণিক উদ্যোগে নতুন জীবন ফিরে পায় শিশুটি। রাজশাহীর মহানগরীর বোয়ালিয়া পাড়া এলাকার রেশমা-সজল দম্পতির কন্যা হাফসা। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিডেগিয়ার শামীম ইয়াজদানি জানান, তিনি প্রথমে ঘটনাটি জানতে না। সোমবার জানার পর খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, শিশুটিকে তাৎক্ষণিক অক্সিজেন দিতে পারায় রেসপন্স করেছে। এক ঘণ্টার চিকিৎসার পর শিশুটি সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত শিশুটি ভাল আছে বলে তিনি জেনেছেন।